কক্সবাজারে খুলনার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী টিপু হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইলিয়াস খান জানান, শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে নিহত রব্বানীর ভগ্নিপতি ইউনুস আলী মামলাটি দায়ের করেন।
তবে এতে কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি জানিয়ে ওসি ইলিয়াস খান বলেন, আসামী অজ্ঞাত রাখা হয়েছে এবং ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশের কাছে এখনো কেউ আটক হয়নি বলে জানান ইলিয়াস খান।
ভগ্নিপতি ইউনুস আলী বিডিনিউজকে বলেন, “আমাদের পুরো পরিবার শোকে মুহ্যমান। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবী চাই।”
মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. সাদেক বিডিনিউজকে জানান, একটি গুলি মাথার ডান পাশ থেকে ঢুকে বাম পাশে বেরিয়ে গেছে, শরীরের আর কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি মরদেহের। বাকিটা বিস্তারিত জানা যাবে ফরেনসিক প্রতিবেদনের পর।
এ ঘটনায় র্যাব-১৫ এর হেফাজতে রয়েছে খুলনার ১৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শেখ হাসান ইফতেখার ওরফে চালু ও কক্সবাজারে নিহত রব্বানীর বন্ধু মেজবাহ উদ্দিন ভুট্টু।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানান র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
নিহত গোলাম রব্বানী টিপু বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ৭টায় কক্সবাজারের একটি হোটেলে ওঠেন। হোটেলের ‘অতিথি লিপিবদ্ধ বই’ এ দেখা গেছে র্যাব হেফাজতে থাকা ইফতেখার ও নিহত গোলাম রব্বানী টিপুর সাথে এক নারীও হোটেলে ওঠেন। ওই নারী ঘটনার পর থেকে পলাতক।
আমাদের হাতে আসা হোটেলটির অভ্যর্থনা কক্ষের একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৩১ মিনিটে ওই নারীসহ নিহত কাউন্সিলর টিপু হোটেল থেকে বেরিয়ে যান।
এরপর রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন হোটেল সী-গালের সামনের ফুটপাতে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন গোলাম রব্বানী টিপু।
পাঠকের মতামত: